টঙ্গীতে কাউন্সিলর পুত্রের হাতে লাঞ্ছিত পুলিশ দম্পতি।
বি এ রায়হান, গাজীপুর:
গাজীপুরের টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা পুলিশ সদস্য ও তার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করা অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ অভিযুক্ত সিফাত আহমেদ(২০) কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
রবিবার ১৮ এপ্রিল দুপুর ১২ টার দিকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
মারধোরের শিকার পুলিশ সদস্য হলেন মো:রিপন ও তার স্ত্রী সাদিয়া আক্তার। তিনি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় কর্মরত রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ সদস্য রিপন তার স্ত্রীকে নিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসলে হাসপাতালের ৩য় তলায় প্যাথলজি রুমের সামনে একজন আয়ার সাথে রিপনের স্ত্রীর কথা কাটাকাটি হয়। এবিষয়ে রিপন জানতে চাইলে কোভিড-১৯ টিকাদানকারী স্বেচ্ছাসেবক সাদিয়া সুলতানার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কাউন্সিলরের স্ত্রী শিউলি বেগম, ছেলে সিফাত, ও শ্যালিকা সাদিয়া সুলতানা মিলে পুলিশ সদস্য রিপনের স্ত্রীর ওপর হামলা করে বাধা দিতে গেলে পুলিশ সদস্য রিপনও হামলার শিকার হন।ঘটনার পর থেকে প্যাথলজি বিভাগের পরিচ্ছন্নকর্মী পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ সদস্য রিপন বলেন, আমি আমার অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালটির তৃতীয় তলায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আসি। পরীক্ষার শেষে রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় হাসপাতালটির পরিচ্ছন্নকর্মী আমাদের জুতা খুলে বারান্দায় দাড়াতে বলে। জুতা না খুলে দাড়িয়ে থাকায় তিনি আমাদের অকর্থ্য ভাষায গালিগালাজ করতে থাকলে আমি আমার পরিচয় দেই।পরিচয় পেয়ে পাশে থাকা রেড ক্রিসেন্টর কয়েকজন সেচ্ছাসেবক ও কাউন্সিলের স্ত্রী ও ছেলে আমাদের মারধোর করে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ বলেন,বিষয়টি একটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে।
এবিষয়ে কথা হলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার ( অপরাধ দক্ষিণ) জানান বিষয়টা বিষয়টি একটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে।